রাজারহাট-নিউটাউন অঞ্চলে নতুন করে প্রচুর পুজো শুরু হয়েছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে। সেই পুজোরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি পুজো এই নিউ টাউন প্রকৃতি বান্ধব সমিতির পুজো। এই পুজোটির প্রথম বছরটা ছিল একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অভূতপূর্ব সফল্যের পরে তারা নতুন করে মনোবল নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের পুজোতে ঝাঁপ দেয়। অত্যন্ত সুন্দরভাবে শেষ হয় দ্বিতীয় বর্ষের পুজোও। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তারা তৃতীয় বছরে তাদের পুজোটি সাবালকত্ব অর্জন করে। আর এবছর তাদের পুজো আয়োজনের চতুর্থ বর্ষ। তাই আরও দায়বদ্ধতার সঙ্গে সাবেকিয়ানার সাথে ও ঘরোয়া ভাবে দুর্গাপূজা ও উৎসব পালন করতে চলেছে “নিউ টাউন প্রকৃতিবান্ধব সমিতি “।
সকলের মধ্যে এবছর ব্যাপক উত্তেজনা। ইতিমধ্যে তাদের পুজোর আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে,প্রকৃতির খামখেয়ালি পনাকে সঙ্গী করেই জোর কদমে চলছে মন্ডপ প্রস্তুতির কাজ। এবছরে তাদের পুজোর ভাবনাটা খুবই চমকপ্রদ- ”আনুষ্ঠানিকতা নয় আন্তরিকতা”। স্বাভাবিক কারণেই তাদের পুজোতে উৎসব থেকে পুজোর ধৰ্মীয় আচার প্রাধান্য পেয়েছে।
ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক তারক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ঘরোয়া আচার ও সাবেকি শিষ্টাচার,যখন এলাকার আবাসিকদের আন্তরিক মেলবন্ধনের সঙ্গে মিশে যায়, তখন সত্যিই তাদের এই আয়োজন প্রকৃত অর্থেই হয়ে ওঠে ‘সার্ব্বজনীন’ । এভাবেই তারা পালন করতে চলেছে সার্বজনীন দুর্গোৎসব। তারক বাবু আরো বলেন যে তাদের পুজোর মূল আকর্ষণই হচ্ছে ‘কুমারী পুজো’। এই কুমারী পুজো তারা সব নিয়ম রীতি মেনে অতি শিষ্টাচারের সাথে নবমীর দিন আয়োজন করেন। সেই পুজোতে তাদের সকলে অংশ নেয়। তিনি জানান, রাজারহাট-নিউটাউন অঞ্চলে তারাই প্রথম শুরু করেছেন এই কুমারী পুজো। এই কুমারী পুজোর মাধ্যমে “নারী শক্তিয়ানের” যে বার্তা তারা দেন এবছরও তার কোনো অন্যথা হবে না। এবছরও তারা সমান উৎসাহ নিয়ে নারী শক্তির জাগরণের বার্তা দেবেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবছরে নবমীতে শুচিস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে কুমারী মাতা রুপে পুজো করবেন তারা। স্হানীয় সকলেই কুমারী মাতার পুজোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ।
এই পুজোর অপর আকর্ষণ সাংস্কৃতিক উৎসব। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তারা পুজো মন্ডপে আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গুণী শিল্পীরা ওই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও পুজোর তিনদিন তারা দুপুরে খাবারের আয়োজন করেন। স্হানীয় সকলেই একসাথে বসে হৈ হুল্লোড় করে ভোগ গ্রহন করেন।