কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় ১২০টি খাতা হারিয়ে গেছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে শনিবার জানান, ক্যাম্পাস খুললেই সেই কলেজ গুলোকে চিঠি পাঠানো হবে, যাদের শিক্ষার্থীদের খাতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, যাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং সেই তথ্য পরীক্ষার্থীদের জানাতে বলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যে পরীক্ষার্থীদের নম্বর ইতোমধ্যেই আপলোড হয়েছে, তারা চাইলে সেই নম্বর গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, তারা রিভিউয়ের আবেদন করতে পারবেন না, কারণ খাতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো পরীক্ষার্থী যদি তা মেনে নিতে না চান, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তাকে সেই খাতায় সর্বাধিক প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। তবুও যদি কোনো পরীক্ষার্থী এতে রাজি না হন, তাহলে তাকে পুনরায় পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে।হারানো খাতাগুলির মধ্যে কিছু খাতা পুড়ে গেছে, আর কিছু খাতা এখনো জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যেসব কলেজের পরীক্ষকদের দায়িত্বে থাকা খাতাগুলো হারিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট তিন কলেজকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। ক্যাম্পাস খুললে অফিসিয়াল চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
এসএফআই (SFI) নামের ছাত্র সংগঠন এ ঘটনার প্রতিবাদে বলেছে, কলেজের গাফিলতির কারণে যেন কোনো শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষায় ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এই পদক্ষেপগুলো নেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও সমর্থনের বার্তা দিচ্ছে।