নখকুনি, একটি বিরক্তিকর সমস্যা যা অনেককেই হয়রান করে। এই রোগের জন্য দায়ী ছত্রাক। যদিও বাজারে নানা ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়, তবুও অনেকে ঘরোয়া টোটকায় এর চিকিৎসা করতে পছন্দ করেন।
ঘরোয়া টোটকা কি কাজ করে?
অনেকের দাবি, ভিনেগার, চা গাছের তেল, বেকিং সোডা ইত্যাদি দিয়ে নখকুনি নিরাময় সম্ভব। কিন্তু চিকিৎসকরা এই বিষয়ে কী বলছেন?
কলকাতার একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, “ঘরোয়া টোটকা কিছু ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে গুরুতর নখকুনির জন্য এটি যথেষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই টোটকাগুলো হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে, কিন্তু গভীর সংক্রমণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।”
কেন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি?
- ঠিক নির্ণয়: ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে সমস্যাটি আসলেই নখকুনি। অন্যান্য কোনো চর্মরোগ হতে পারে।
- সঠিক চিকিৎসা: চিকিৎসকরা রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারেন।
- জটিলতা প্রতিরোধ: অনেক সময় ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এমন ঝুঁকি কমে যায়।
কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া টোটকা
- ভিনেগার: ভিনেগারের অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ ছত্রাক দমনে সাহায্য করে।
- চা গাছের তেল: এই তেলের অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- বেকিং সোডা: বেকিং সোডা নখের pH লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন:
- ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- কোনো অস্বস্তি হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান।
- নখের যত্ন নিন, পরিষ্কার রাখুন এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন।