২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের ব্লকবাস্টার ছবি ‘নায়ক’। একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দেশের সব অনাচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনিল কপুর অভিনীত চরিত্র। প্রয়াত অভিনেতা অমরীশ পুরীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিনি। বাঙালি অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় ছিলেন নায়িকা। বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ছবি।২৩ বছর পর আবারও ‘নায়ক’আসছে বড় পর্দায়। দীর্ঘ বিরতির পর এই খবরে উচ্ছ্বসিত দর্শক।
এক সাক্ষাৎকারে অনিল কপুর জানিয়েছেন, ‘নায়ক’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পরিচালক শংকর তাকে গায়ের পুরো পশম ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না অনিল।অবশেষে, খালি গায়ে অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটের জন্য কাদা মাখতে হয়েছিল বলিউডের এই সুপারস্টারকে। ৩২ টি ক্যামেরা দিয়ে ওই অ্যাকশন দৃশ্যে থ্রিডি এফেক্ট আনা হয়েছিল।শুধু তাই নয়, পর্দার নায়ক হয়ে উঠতে জিমে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল অনিল কপুরকে। সিনেমার সাফল্যে পরিচালকের নির্দেশ অমান্য করতে পারেননি। তাই জিমে গিয়ে মাসল তৈরি করেছিলেন। তবে শার্টলেস দৃশ্যে কাদা দিয়ে শরীরের পশম আড়াল করা হয়েছিল।যদিও ছবিটি মুক্তির পর প্রথমে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি, কিন্তু বর্তমানে এটি কাল্ট ছবির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এই মুহূর্তে ‘নায়ক’-এর সিক্যুয়েলের কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। পাঠানের পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দই নায়কের সিক্যুয়েল তৈরির পরিকল্পনা করছেন বলে খবর।’নায়ক’ ছবির অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অনিল কপুর বলেছেন, “এই ছবিতে অভিনয় করাটা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু পরিচালকের বিশ্বাসে আমি কাজ করেছি। ‘নায়ক’ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি।”