ভিটামিন সি ফেসিয়াল সম্পর্কিত কিছু কথা
প্রথমে আমরা একটু জেনে নেই যে ভিটামিন সি স্কিনের জন্য কেন উপকারী? কেন আমরা ভিটামিন সি ফেসিয়াল করবো এবং কারা এই ফেসিয়ালটা করতে পারবেন?
১) ভিটামিন সি আমাদের স্কিনের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের স্কিনের কোলাজেনকে বুস্ট করে স্কিনকে টাইট ও সফট করে তোলে। এটি স্কিনের ফাইন লাইন এবং রিংকেল দূর করতে খুবই কার্যকরী।
২) এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ইউভি থেকে তৈরী স্কিন ড্যামেজ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ডার্ক স্পট লাইট করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি স্কিন ব্রাইটেনিং-এ বেশ ভালো কাজ করে।
৩) ভিটামিন সি ফেসিয়াল এমন সকল ইনগ্রেডিয়েন্টস-এ তৈরি, যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর ভিটামিন সি থাকা মানেই উপরে উল্লিখিত উপকারিতাগুলো আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন।
৪) এবার আসি কারা কারা এই ভিটামিন সি ফেসিয়াল করতে পারবে। যাদের বয়স ২০+, তারা এই ফেসিয়ালটি অনায়াসেই করতে পারবেন। আর ভিটামিন সি যেহেতু অ্যান্টি-এজিং এর জন্য বেশ কাজের তাই বয়স যখন ২৫+, তখন থেকে রেগ্যুলার বেসিস-এ এটা করা ভালো। এতে স্কিন দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়াও রোধ হবে। আর যাদের স্কিনে বয়সের ছাপ পড়েই গেছে তারা তো এটা অবশ্যই করতে পারবেন।
৫) অনেকে কিছু প্রশ্ন করে থাকে, যেমন- “আমার অয়েলি স্কিন”। আবার অনেকে বলে থাকেন, “আমার ড্রাই স্কিন তো আমি এই ফেসিয়াল করতে পারব কি না?”… সেক্ষেত্রে বলি, এই ফেসিয়ালটা যে কোনো স্কিন টাইপেই করতে পারবেন।
ফেসিয়াল করবেন
ফেসিয়াল নরমালি ৫টি ধাপে করা হয়ে থাকে। চলুন দেখে নেই স্টেপগুলো-
১. ক্লিঞ্জিং
ক্লিঞ্জিং শুরু করার আগে প্রথমেই আপনার চুলগুলো বেঁধে নিয়ে একটা হেড ব্যান্ড লাগিয়ে নিন । এবার আপনার মুখে যদি কোনো মেকআপ, সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার দেয়া থাকে, তা রিমুভ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে নিয়ে ফেইসটি ফেইস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন।
ক্লিঞ্জিং এর জন্য যে সকল উপকরণ লাগবে-
টকদই
অরেঞ্জ জুস
কাঁচা দুধ
পদ্ধতি-
একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ টকদই, ১ চা চামচ অরেঞ্জ জুস, ১ চা চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে আপনার ক্লিন ফেইস এবং গলায় এটি ভালোভাবে অ্যান্টিক্লক মোশনে ম্যাসাজ করুন ৩-৫ মিনিট। এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে মুখটা মুছে নিন।