টলিপাড়ায় একের পর এক বৈদিক বিবাহের নজির দেখে আচমকাই চটলেন অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এদিকে টলিপাড়ায় সদ্য বৈদিকমতে বিয়ে সেরেছেন রুবেল-শ্বেতা, আর তারপরেই এমন মন্তব্য অভিনেতার। তবে কি ভাস্করের নিশানায় নবদম্পতি?
ভাস্কর ফেসবুকে লিখলেন, ‘বিয়ে নিয়ে বেলেললাপনা, নাচতে নাচতে বিয়ে করতে আসছে বর, বউ বেহায়ার মতো অঙ্গভঙ্গি করছে!’ তীব্র কটাক্ষ অভিনেতার। কিন্তু কাকে বেহায়া বলে সম্বোধন করেছেন তিনি? ফেসবুক পোস্টে বাঙালির কিছু রীতিনীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বৈদিক মতে বিয়ে একেবারেই মানতে নারাজ ভাস্কর।
অভিনেতার মতে বিয়ে একটি সনাতন প্রথা। এ প্রসঙ্গে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি লিখেছেন, ‘আমরা খুব দ্রুত এ কোথায় নামছি (নাকি উঠছি!) বিবাহ আমাদের একটা সনাতন প্রথা, একটা সংস্কার ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। সেটা এখন একটা প্রহসনে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন বিবাহ একটা মজা বা মস্তি! (কী সব বৈদিক মত! তার থেকেও বড় হচ্ছে বিবাহ নিয়ে যে বেলেললাপনা হচ্ছে), বর নাচতে নাচতে বিয়ে করতে আসছে কনে বেহায়ার মতো অঙ্গভঙ্গি করছে। আই লাভ ইউ-আই লাভ ইউ বলে লাফালাফি করছে। একে অপরকে বিদেশি কায়দায় প্রকাশ্যেই চুম্বন করছে, বাবা/মা (উভয় পক্ষ) তাতে তাল দিচ্ছে, (কিছু করার নেই)!”
তবে উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল রুবেল-শ্বেতার বিয়ের এমন কিছু মুহূর্ত। তবে কি সরাসরি রুবেল-শ্বেতাকেই ইঙ্গিত করেছেন ভাস্কর? অন্যদিকে মেহেন্দি, সঙ্গীত এই রীতিগুলো নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বর্ষীয়ান অভিনেতা।
পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘মেহেন্দি হচ্ছে, সংগীত হচ্ছে (যেগুলো আমাদের রীতি নয়)। মানছি যুগ পাল্টেছে, কিন্ত সেটা সুস্থ না হলে, সেই পরিবর্তনের কোনও সুফল আছে কি? এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে যে নারী/পুরুষ সমান। দু’জনই সমান, কিন্ত পুরুষ কি মা হতে পারবে নাকি নারী বাবা হতে পারবে? এইটা প্রমাণ করতে গিয়ে সংসারটা রষাতলে যাবে (যাচ্ছেও) খুব দ্রুত বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে গিয়েছে, কারণ বিবাহ একটা তাৎক্ষনিক মজা নয়, একটা নিবিড় বন্ধন। একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার।আগামী প্রজন্ম একটু এগিয়ে ফুলশয্যার বিষয়টাও প্রকাশ্যেই আনবে সেটা আশা করি মেনে নেবেন?’
পোস্টের একেবারে শেষে জনতার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে তাঁর করা মন্তব্যকে নিজ গুনে বিচার করারও দাবি জানিয়েছেন অভিনেতা।