শাস্ত্রীয় সংগীতের কিংবদন্তী শিল্পী ওস্তাদ রাশিদ খানের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা সংগীত জগতে। গতকাল মঙ্গলবার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
রাশিদ খানের সঙ্গে হৈমন্তী শুক্লার ছিল ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক। প্রতিবছর ভাইফোঁটার দিনটা তাঁদের দেখা হবেই। কিন্তু গত দুবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে তাঁরা একে অপরকে দেখতে পাননি।
হৈমন্তী শুক্লা বলেন, “আমার সঙ্গে ওর ভীষণ হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল। ও অত বড় পণ্ডিত মানুষ, আমিও কখনও ভাবতাম না, ও কখনও বলেনি। আমি যতটুকুই গান গাইতাম, ও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে বারবার। খুব ভালোবাসত আমার গান শুনতে। অনেক বাংলা গান শুনেছে। আমার বাবার যে ক্লাসিক্যাল শিক্ষা ছিল, সেটা ওঁকে নাড়া দিয়েছে। খুব পছন্দ করতেন সবসময়। কোথাও দেখা হলে বা এক গাড়িতে কোথাও গেলে কত গল্প হত। আজ আর কিছুই বলতে ভালো লাগছে না। ও পান খেতে খুব ভালোবাসত। আমায় দেখলেই পান বানাতে শুরু করত। সব মনে পড়ছে।”
দুই ভাইবোন এক জায়গায় হলেই নানা ধরনের গল্প জমে উঠত। কত গান, কত মনের কোণে জমে থাকা আলোচনা। সে যেন আর ফুরায় না। আজ তাই মন কিছুতেই মানছে না হৈমন্তী শুক্লার।