হাওড়ার মন্ত্রীর হাতে পুর প্রশাসককে হেনস্থার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।হাওড়ার চিকিৎসক নিশীথরঞ্জন চৌধুরী বলেন, “হাওড়ার পুর প্রশাসক পেশায় এক জন শিশুরোগ চিকিৎসক। তাঁকে যে ভাবে এক মন্ত্রীর হাতে হেনস্থা হতে দেখা গিয়েছে, তা হাওড়াবাসীর পক্ষে লজ্জাজনক। এর পরে আর কোনও চিকিৎসক মানুষের জন্য কাজ করতে প্রশাসনে আসতে ভয় পাবেন।”
মধ্য হাওড়ার দোকানের মালিক ভাস্কর পাল বলেন, “দলীয় কোন্দলের জেরে জেলার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যে ভাবে বন্ধ হতে বসেছিল, তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। যে মন্ত্রীকে এই ভাবে হেনস্থা করতে দেখা গিয়েছে, তাঁর উচিত হাওড়ায় এমন একটি অনুষ্ঠানে সাহায্য করার জন্য পুর প্রশাসক সুজয়বাবুকে ধন্যবাদ দেওয়া। তা না করে উনি অপমান করেছেন।”
হাওড়া আদালতের ক্রিমিনাল বার লাইব্রেরির সভাপতি সমীর বসুরায়চৌধুরী বলেন, “একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বন্ধ করার চেষ্টা একেবারেই অনুচিত। দলীয় কোন্দলের ঊর্ধ্বে উঠে এই অনুষ্ঠান করা হোক।”
হাওড়ার তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষ রায় বলেন, “বড়দিনের কার্নিভালে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, কোথাও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা প্রশাসনিক নিয়মশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করছেন বা সেটার বিরুদ্ধে কাজ করছেন। অর্থাৎ, আইনবিরুদ্ধ কাজ করছেন। পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা প্রশাসনের উপরমহলে বলতেই পারতেন প্রতিমন্ত্রী।”