বাঙালি তথা ভিনরাজ্যের মানুষের কাছে সুন্দরবন একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতিবছর বড়দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে তিনদিনে অন্তত ৬৯-৭০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে সুন্দরবনে।
সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, চিতল হরিণ আর শীতের দিনে বালির চরে রোদ পোহানো কুমির দেখতেই মূলত মানুষের উৎসাহ থাকে। তবে এখন ইলিশ উৎসবকে কেন্দ্র করেও শীতের মতো বর্ষাকালেও ভিড় উপচে পড়ে সুন্দরবনে।
উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল, লঞ্চ, বোটগুলিতে ভিড় বেড়েছে। তবে হোটেলের রুম না পেয়ে অনেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।সুন্দরবনের সজনেখালি, সুধন্যখালি, দোবাঁকি, বুড়ির ডাবরি, ঝিঙাখালি কলস, বনি ক্যাম্প এই সমস্ত জায়গাতেই মূলত পর্যটকদের আনাগোনা সব থেকে বেশি। ঝড়খালিতে ও ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে এবং চিড়িয়াখানাতে ভ্রাম্যমাণ প্রচুর মানুষ একদিনের ছুটি কাটাতে চলে যাচ্ছেন সেখানে।
হোটেল ও বোটগুলিতে ভালো ভিড় হওয়ায় খুশি পর্যটক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য টুর অপারেটররাও। তবে তারাও বলছেন, হোটেলের রুম না পাওয়ায় অনেকে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।সুন্দরবন টুরিস্ট বোট ইউনিয়নের পক্ষে আমিনুর মিদ্দে বলেন, ‘‘বোট এবং লঞ্চ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও হোটেলের রুম না পাওয়ার কারণেই বহু মানুষকে ফিরে যেতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বহু মানুষ বুকিং না করে আসার কারণেই সমস্যা আরও বেড়েছে।’’