বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, আরজেডি-সহ আরও বেশ কয়েকটি দল। তবে কংগ্রেস নেতারা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
তৃণমূলের প্রস্তাবের মানে হল, আগামী ১২ দিনের মধ্যে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা সেই কাজ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, কেসি বেণুগোপালরা দাবি করেছেন, আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কোনও সমস্যা হবে না। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই যে তা সম্পন্ন হবে, তা তাঁরা উল্লেখ করেননি।
‘ইন্ডিয়া’ সূত্রের খবর, বৈঠকে কংগ্রেসকে ৩০০টি আসনে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৪৩টি আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মমতা বলেছেন, যে যে রাজ্যে শক্তিশালী, আসন সমঝোতার নিয়ন্ত্রণ সেখানে সেই দলের হাতেই থাকুক। এই সূত্র কংগ্রেসের মেনে নেওয়া উচিত। কংগ্রেস যেন শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে ‘উদার মনোভাব’ নিয়ে এগোয়। অর্থাৎ, মমতা বলতে চেয়েছেনন বাংলায় আসন সমঝোতার নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেস যেন তৃণমূলের হাতে ছেড়ে দেয়।
মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র আগের বৈঠকেই তৃণমূল দাবি জানিয়েছিল, অক্টোবরের মধ্যে লোকসভার আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করা হোক। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের ভোটের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সে পথে হাঁটেনি। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন, কংগ্রেস পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলাফল দেখে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির দিকে এগোতে চাইছে। কিন্তু গত ৩ ডিসেম্বর ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, কংগ্রেস হিন্দি বলয়ে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাদের হাতে থাকা ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থান দখল করে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের সান্ত্বনা পুরস্কার বলতে কেবল তেলঙ্গানা। কংগ্রেসের এ হেন অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই আসন সমঝোতা নিয়ে ‘চাপ’ বাড়িয়েছে আঞ্চলিক দলগুলি। ফলে কংগ্রেসের কাছেও ‘নমনীয়’ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ বিশেষ নেই।