সোলাপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রোহিনী সিন্দহার। বাবার চাকরি ছিল কৃষি দফতরে। কিন্তু নিরক্ষরতার কারণে তিনি সরকারি সুবিধা পেতে অনেক কষ্ট করতেন। একদিন কালেক্টরের দফতরে সরকারি সুবিধা নিতে গিয়ে তিনি অপমানিত হন। এই ঘটনা রোহিনীকে খুব ব্যথিত করে। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, বড় হয়ে তিনি কালেক্টর হবেন এবং গরিব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন।
রোহিনী ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্রী। তিনি দশম শ্রেণী পাশ করার পর সোলাপুর টাউনে উচ্চশিক্ষার জন্য যান। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি ২০২০ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তামিলনাড়ুর সালেম জেলার কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।
রোহিনী হলেন তামিলনাড়ুর প্রথম মহিলা কালেক্টর। তিনি গরিব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান। তিনি বলেন, “আমি আমার বাবার অপমানের প্রতিবাদ করতে কালেক্টর হয়েছি। আমি গরিব মানুষের পাশে থাকব এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।”
রোহিনীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তিনি একজন সফল আইএএস অফিসার। তিনি তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছেন এবং গরিব মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।