পশ্চিমবঙ্গ

ক্রমশঃ বিলম্বিত হচ্ছে কলকাতার কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ, পুরসভার ওপর দায় চাপালেন আধিকারিকরা

 

কলকাতার কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের মার্চ মাসে। প্রথম দফায় চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যেই স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। এর পরে মুখ্যসচিব নবান্নে বৈঠক করে নির্মাণ সংস্থাকে নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। কিন্তু সেই সময়সীমাও অচিরেই পেরোবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী বাংলা নববর্ষেও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে ঘোরতর সংশয় রয়েছে।

এই দেরির কারণ কী? নির্মাণ সংস্থার দাবি, পুরসভা বিল মেটাতে দেরি করছে। এর পাশাপাশি, কালীঘাটের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় মাটির নীচে থাকা ব্রিটিশ আমলের জল ও নিকাশির পাইপলাইন অক্ষত রেখে কাজ করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পুরসভার তরফে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলছে, পুরসভা ঠিক সময়েই টাকা দিচ্ছে। আসলে নির্মাণ সংস্থার কাজে ঢিলেমির জন্যই এত দেরি হচ্ছে।

এদিকে, তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, একটা স্কাইওয়াক তৈরি হতে আর কত দিন লাগতে পারে? তারা বলছেন, স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য সরকার এত টাকা খরচ করছে, তাহলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করা উচিত।

এই দেরির জন্য কার দায়ী, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্মাণ সংস্থা ও পুরসভা উভয়ই একে অপরকে দোষারোপ করছে।

তবে, দেরির জন্য উভয় পক্ষেরই কিছুটা দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। নির্মাণ সংস্থা যদি কাজের গতি বাড়ায় এবং পুরসভা যদি বিল মেটাতে দেরি না করে, তাহলে হয়তো এই স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ আরও আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত।

কলকাতার কালীঘাট একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। প্রতি বছর এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করে। এই স্কাইওয়াক নির্মাণ হলে দর্শনার্থীদের চলাচল সহজ হবে এবং যানজট কমবে। এছাড়াও, স্কাইওয়াক থেকে দর্শনার্থীরা কালীঘাট মন্দির এবং তার চারপাশের এলাকার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.