বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন মহম্মদ শামি। কিন্তু এই সাফল্য অর্জনের পথে শামিকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। বিশেষ করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণের জন্য শামিকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় জন্মগ্রহণ করেন মহম্মদ শামি। সেখানেই তিনি ক্রিকেটে হাতেখড়ি দেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ট্রায়ালে তিনি বহুবার বঞ্চনার শিকার হন। শামি নিজেই বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশের ট্রায়ালে দু’বছর অংশ নিয়েছিলাম। প্রথম বার শুরুতে সব কিছুই ঠিক থাকত। সব কিছু ভালই মনে হত। কিন্তু ফাইনাল রাউন্ড এলেই উত্তরপ্রেদেশের লোকেরা আমাকে লাথি মেরে বাইরে বার করে দিত। আমাকে বলা হত, ‘এখানে তোমার কোনও প্রয়োজন নেই।'”
বৈষম্যের শিকার হয়ে শামি কলকাতা চলে আসেন। সেখানেই তিনি ক্লাব ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। ২০১০ সালে তিনি বাংলা দলের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক করেন। এরপর থেকে তিনি বাংলা দলের হয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন।
শামির সাফল্যের গল্পটি অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। তার গল্প থেকে বোঝা যায়, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
শামির সাফল্যের পেছনে তার পরিবারের অবদানও অনস্বীকার্য। তার বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক। শামির ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ার জন্য তার পরিবার অনেক কষ্ট করেছে।শামি এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস বোলার হিসেবে পরিচিত। তার সাফল্য ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক বড় অর্জন।