সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ভূত, গোয়েন্দা, থ্রিলার ঘরানার ছবিগুলোর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে হাসির ছবিগুলো কিছুটা কম। তবে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ ছবিটি সেই ধারাকে কিছুটা বদলে দিতে পারে।
সাহিত্যিক রাজকুমার মৈত্রের বিখ্যাত চরিত্র বগলাচরণ ভট্টাচার্যের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই ছবিটি। আপাতদৃষ্টিতে রসিক হলেও আবেগপ্রবণ বগলা থিয়েটার নিয়ে মেতে থাকে। তার সঙ্গে রয়েছে কেবু এবং তার দলবল।
ছবির গল্পের প্রেক্ষাপট আশির দশক। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ফেলু আচার্যের থেকে নাটকের বায়না নিয়ে ফাঁপরে পড়েছে বগলা। ফেলু চায় নাটকের প্রতিযোগিতায় জিতে মানুষের চোখে ‘সংস্কৃতিমনস্ক’ হিসাবে পরিচিতি পেতে। বগলা কীচকবধের প্রেক্ষাপটে নাটক সাজিয়েছে। বিপরীতে রয়েছে গ্রামের মাস্টারমশাইয়ের সিরাজদৌল্লা নাটক। প্রতিযোগিতায় না জিততে পারলে ফেলুর হাত থেকে বগলা এবং তার দলবলের নিস্তার নেই।
ছবিটির প্রথমার্ধে গল্পের গতি কিছুটা মন্থর মনে হতে পারে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গল্পের গতি বেড়ে যায় এবং দর্শকদের মনোরঞ্জন নিশ্চিত করে। বগলার চরিত্রে খরাজ মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় অনবদ্য। তিনি বগলার আপাতদৃষ্টিতে রসিক কিন্তু আবেগপ্রবণ চরিত্রটিকে সফলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কেবুর চরিত্রে রুদ্রনীল ঘোষও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। ছবির অন্যান্য চরিত্রগুলোও যথাযথ। পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ছবিটি বেশ সাবলীল। ছবির সংলাপ এবং গানগুলোও বেশ ভালো।