কলকাতায় বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারি থামছেই না। ইতিমধ্যেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ময়দান থানার পুলিশ। এর মধ্যেই নতুন করে টিকিট কালবাজারির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল আরও দুইজনকে। অনেকেই কালোবাজারির জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী করেছেন বিসিসিআই এবং সিএবিকে। এই ম্যাচেও কালোবাজারির প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা গেল। অধিকাংশ সিট ভর্তি হলেও সামনের সিট গুলি খাঁ খাঁ করছে। বলাই বাহুল্য এত হাইভোল্টেজ ম্যাচে টিকিট তো ফাঁকা যাবে না, অর্থাৎ সিটগুলি কালোবাজারিরা দখল করে বসে আছে। এরজন্য টিকিট পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ক্ষুব্ধ জনতার মতে এই কালোবাজারিতে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে দায় ক্রিকেট কর্তাদেরই।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়দান থানা এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুইজনকে আজই আদালতে তোলা হবে।
এর আগে, ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ২১ জনের মধ্যে ১২ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তদন্তের ফলে জানা গেছে, ওই অনলাইন সংস্থা এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৫টি টিকিট বিক্রি করেছে। অন্যদিকে, প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি টিকিট কপ্লিমেন্টারি রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক টিকিট কোথায়, কাকে দেওয়া হয়েছে, কী ভাবে টিকিটের কালোবাজারি শুরু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুলিশ তদন্ত আরও জোরদার করেছে।