আমাদের সমাজে একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে মেয়ে জন্ম হওয়া অভিশাপ বলে মনে করা হতো। এমনকি কোন বাড়িতে মেয়ে জন্ম হলে তাকে প্রাণেও মেরে দেওয়া হতো। ১৯৯০ সালে মেয়েদের শিক্ষার পরিমাণ ছিল মোটে চল্লিশ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ষাট শতাংশ।
মহিলাদের কেউ যদি পুরুষদের মতন শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় তবে তারাও যে পুরুষদেরকে ছাপিয়ে যেতে পারে তারই প্রমাণ মিলল। আইপিএস অফিসার হলে একজন মহিলা শালিনী আগ্নেয়ত্রী। গরিব এক পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন শালিনী। তার বাবা ছিলেন একজন বাস কন্টাকটার তার বাবা কখনো ছেলে মেয়ের মধ্যে ভেদাভেদ করেনি। তিনি চেয়েছিলেন তার মেয়ে ভালো স্কুলে পড়ে সঠিক শিক্ষা পেয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
শালিনী যখন খুব ছোট ছিলেন একদিন তিনি বাসে দেখেছিলেন একজন লোক তার সিটে বারবার হাত দিচ্ছিল তখন তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হওয়ায় সেই লোকটি বলেছিলেন তিনি কোন কমিশনার নাকি যে তার কথা শুনতে হবে তখন থেকেই তার মনে প্রবল ইচ্ছা জাগে কমিশনার মানে একটা খুব বড় পোস্ট। গ্রাজুয়েশন চলাকালীতের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সাফল্য পাওয়ার পরেই তিনি তার বাবা মাকে তার সাফল্যের কথা জানান।