পাল্টা চিঠি দিল বিকাশ ভবন রাজভবনের চিঠির। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে সচিবালয় রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির কাছে। তারই প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের কাছে। উল্লেখ্য গত দুই সেপ্টেম্বর যে বিজ্ঞপ্তি রাজভবনে জারি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। রাজ্যে এই সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাঙ্গা হয়েছে।
রাজভবনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যের পর সার্বভৌম অধিকার যায় উপাচার্যের কাছেই। সরকার তাদের নির্দেশ দিতেই পারে কিন্তু তারা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। শিক্ষা জগতের অনেকেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনেকটাই সরকারি নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই কমিয়ে আনলেন রাজ্যপাল।
কিন্তু সোমবার সেই বিজ্ঞপ্তির পাল্টায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে রাজভবন যা করছে তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। সেই চিঠিতে যা ব্যাখ্যা করা হয়েছে তা হলো রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের ক্ষমতা সংক্রান্ত আইনের কথা। ২০১৯ সালে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। আচার্য সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তা শিক্ষা দপ্তর মারফত করতে হবে। সেই আইনে রয়েছে আচার্যের কোন সচিবালয় থাকবেনা।