হলিউড অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড আর কয়েকদিনের মধ্যেই ৮১ বছরে পা দিতে চলেছেন। তার শরীরের গঠন দেখলে সেটা অবশ্যই বোঝাই যায়। কিন্তু পর্দায় এলে তাঁর বয়সের ভার বোঝা বেজায় মুশকিল। তাঁর এই তারুণ্যর জন্যই ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য ডায়াল অফ ডেস্টিনি’ ছবির সবথেকে দামি ইউএসপি তিনি। হ্যারিসন ফোর্ড তথা ইন্ডিয়ানা জোন্স ওরফে ইন্ডি চারখণ্ডের অ্যাডভেঞ্চারের দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবশেষে ভবিতব্যের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন। ইন্ডি আমেরিকার একটি কলেজে প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করার পর যখন তিনি বাড়িতে ছিলেন সেই সময় ইন্ডির প্রিয় বন্ধু এবং একসময়ের সহযোগী বেসিল শয়ের মেয়ে হেলেনা এসে হাজির হন। সম্পর্কে হেলেনার ‘গডফাদার’ হন ইন্ডি। আর এই দুজনে মিলে যে একটি নতুন অ্যাডভেঞ্চার করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে এই অ্যাডভেঞ্চারের কথা জানতে গেলে হিটলার রাজের শেষের দিকে অর্থাৎ ১৯৪৪ সালে পিছিয়ে যেতে হবে। হ্যারিসন ফোর্ড আশির কোঠায় এসে ছবির দায়িত্বের প্রায় ৭০% নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন। নিজের বয়সের সাথে সাযুজ্য রেখে একের পর অ্যাকশন দৃশ্য অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে, অবসরের দোরগোড়ায় এসেও ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানিকে এড়িয়ে যাননি। হেলেনার নিত্যসঙ্গী ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি টেডি। তার বয়স ১৫-১৬ বছর হলেও বুদ্ধির দিক থেকে সে খুব তুখোড়। তার চরিত্রে অভিনয় করছেন ইথান ইসিডোর। তবে ম্যাডস মিকেলসন ছবির খলনায়ক ভোলারের ভূমিকায় একেবারেই ফ্যাকাসে। এমনকি ছবির আবহ সঙ্গীতের কথা উল্লেখ করতে হয়।
তবে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অফ ডেসটিনি’র প্রতিটি দৃশ্য ৯১ জন উইলিয়ামসের সুরের ছোঁয়ায় আরও ধারালো হয়ে উঠেছে। তবে এই ছবিতে কল্পনার যে আছে তার সকলেই বুঝতে পারছে। তবে ফ্রাঞ্চাইজির শেষ ছবিতে ইন্ডিয়ানা জোন্স নিজেই বলেছে, “তুমি কিসে বিশ্বাস রাখো, সেটা বড় ব্যাপার নয়। তুমি কতটা বিশ্বাস রাখো, সেটাই আসল”।