পঞ্চায়েত ভোটের প্রশাসন ও রাজনীতিকে ঘিরে একদিনেই একাধিক নাটক। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পরে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় দ্রুত 800 কম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কমিশনার রাজীব সিংহের যোগদান রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পিএস শিবজ্ঞানাম তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, আদালতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশ পালন করতে না চাইলে কমিশনার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে পারে।
রাজ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই হিংসার দামামা বেজেই চলেছে। সেই আবহে এই রাজ্যপাল কমিশনারকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিল শনিবার। কিন্তু কমিশনার ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে রাজভবনে যেতে পারেনি। রাজ্যপালের ডাকে সাড়া না দেওয়াই কি যোগদান রিপোর্ট পাঠানো হলো? এখানেই তৈরি হচ্ছে জল্পনা। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে কমিশনারের যোগদান রিপোর্ট রাজ্যপালের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া স্বাধীন ভারতের এক নজির বিহীন ঘটনা। যদি কমিশনারের পদ থেকে রাজীবকে অপসারণ করতেই হয়, সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্য সভায় ৫০ জন করে সংসদের সমর্থন নিয়ে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে রাজ্য বিরোধীরা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ কেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায় কমিশনার আদৌ পদ থেকে পারবেন কি পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করতে। নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে রাজিব সিং গোড়া থেকেই ব্যর্থ হয়েছেন। তার মতে রাজিব সিংহ আর কমিশনারের পদে থাকার যোগ্য নয়। তবে অবশ্য একাংশের মতে যে নাম রাশিফল এর কাছে পাঠানো হয়েছে তাদের কমিশনার রাজীব সিং এর জায়গা অন্য কারোর নাম ছিল।